নিরঞ্জনা
– বোরহান রাব্বানী
পথের ক্লান্তি শেষে সহসা তাকিয়ে দেখি
প্রচন্ড ভীড়ের মাঝে বাড়িয়ে দু’আঁখি;
আমারে ডাকিছে সে, অনাগত অন্দরে।
হিয়ার যত উষ্ণতা- ছড়িয়ে বিমুগ্ধ স্বরে
আমারে ডাকিছে একা— এক নিরঞ্জনা।
আহা! আহ্বানে তার সে কী উত্তেজনা!
রজনীগন্ধার বউলের মত ক্রমাগত ধুলিছে সমস্ত আঙ্গুলি তার,
বাদামি চোখের কোটায় আগত আনন্দের ঝিকিমিকি আর
বাতাসে চুলের সুবাস— অদ্ভুৎ ম-ম।
আমাকে টানিছে কাছে, কাছে, আরো কাছে
প্রচন্ড ভীড়ের মাঝে যেন সাপুড়ে মন্ত্রের নাচে।
বটফুলের মতো সুবর্ণ শরীরে তার
একটা— দু’টা— তিনটা ছোট বড় তিলের সমাহার।
ব্যাথিত রাত্রির বুকে তক্তকে নক্ষত্রের মত
অস্তিত্বের দৃঢ় জানান দিতে জ্বলিছে অফূরনতো।
আমাকে একবার কাছে টেনে নিলো
তারপর কিচ্ছু মনে নেই আর, কিচ্ছু না।
কোথা হতে এসে কোথা নিয়ে গেলো?
কতদিন— কতকাল— কত কী ফুরালো
কিচ্ছু মনে নেই তার কিচ্ছু না কিচ্ছু না।
শুধু জানি—
শহরের সেই প্রচন্ড ভীড়ের মাঝে একা
আমাকে চেয়েছে সে একান্ত বিশ্বাসে।
(০৮.০৯.২০/মঙ্গল)