ফিলানডারের হাসি
হালিম আকন্দ
আমি একটি কবিতা লিখব বলে মনস্থির করেছি
কিন্তু শব্দরা আমার সনে গগনের পাখির মত
করছে উড়াউড়ি,
আমি তাকে খাঁচায় বন্দি করতে চেয়েও
বন্দি করতে পারিনি।
হঠাৎ ডান পার্শ্বে থেকে শ্রবণে এলো
শব্দরা খিলখিল করে হাসছে।
আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
এ তো আমার বোয়ালী রূপসীর হাসি।
আমি আর বসে নেই,
শব্দরা আমাকে দিয়েছে ধরা।
নদীর গতির মতো কবিতার ছন্দরা করছে খেলা।
আমি একটি কবিতা লিখব বলে
হস্তে ধরেছি মসি।
বর্ষার ঝর্ণার মতো অবিরাম ঝরছে হাসি;
আমি অবাক হয়ে ভাবি
প্রেমিক কবি হয়ে যাচ্ছে বুঝি আজি।
কিন্তু হঠাৎ মনে প্রশ্ন জাগে;
নির্জন গৃহে –
কীরূপে সম্ভব এ প্রাণ খোলা হাসি?
এ নিরালা দুপুরে
নাকি ধরেছে তারে ভুতুড়ে।
অল্পক্ষণে বুঝতে আর রইল না বাকি
এ রূপসীর হাসি দিয়েছে আমায় ফাঁকি।
এ হাসি আমার কবিতার ছন্দ জাগানো হাসি নয়
হৃদয়ে হৃদয় স্পর্শ করলেই এ হাসি হয়।
এ হাসি কোনো মেকি হাসি নয়।
বিজ্ঞানের আশীর্বাদে-
দূর-দূরান্তে থেকে প্রেমিক প্রমিকার হৃদয় করেছে জয়।
তাই তো এ প্রাণ ছোঁয়া হাসি বয়।
ইহা ভাবিতে ভাবিতে-
কেনো জানি আমার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে
মসিটাও হসতে আর রাখতে পারছে না ধরে।
এ রূপসীর হাসি যেন এখন আর
প্রেমিক কবি হওয়ার হাসি নয়,
এ হৃদয় স্পর্শ হাসি যেনো
সূর্যগ্রহনের মতো আমার স্বচ্ছল হৃদয়টাকে
বিষাদে করছে ভরপুর।
কেনো জানি আমি হারিয়ে যাচ্ছি গভীর তমসায়
এই আলোকিত দিনদুপুর।