বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ ১১২ টি বিখ্যাত উক্তি
১। “প্রণমিয়া পাটনী কহিল জোর হাতে
আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে”
—– অন্নদামঙ্গল কাব্য (ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর)
২। ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’—– ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
৩। ‘অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়’—– মুকুন্দরাম।
৪। ‘এক সে পদ্ম তার চৌষট্টি পাখনা,———চর্যাপদ
৫। ‘সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া।’—– চণ্ডীদাস।
৬। ‘রূপলাগি অখিঁ ঝুরে মন ভোর প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।’ ——-চণ্ডীদাস।
৭। ‘বামন চিনি পৈতা প্রমাণ বামনী চিনি কিসে রে।’ —লালন
৮। ‘‘সেই সুমধুর স্তব্ধ দুপুর , পাঠশালা – পলায়ন —
ভাবিলাম হায় আর কি কোথায় ফিরে পাব সে জীবন !”
——- (দুই বিঘা ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮। ‘মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সব চেয়ে কম। তারা জানেও না যে, এইজন্যে মেয়েদের ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত সহজ।
তারা আপনার আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে। তারপরে কেবলই মরছে ভয়ে,…ভাবনায়,…অযোগ্য লোকের হাতে…খাচ্ছে মার, আর মনে করছে সেইটে নীরবে সহ্য করাতেই স্ত্রীজন্মের সর্বোচ্চ চরিতার্থ।’
……..যোগাযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৯। ‘বিশ্বপিতা স্ত্রী ও পুরুষের কেবল আকারগত কিঞ্চিত ভেদ সংস্থাপন করিয়াছেন মাত্র। মানসিক শক্তি বিষয়ে ন্যূনাধিক্য স্থাপন করেন নাই। অতএব বালকেরা যেরূপ শিখিতে পারে বালিকারা সেরূপ কেন না পারিবেক।———-মদনমোহন তর্কালঙ্কার
১০। ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন/হউক দূর অকল্যাণ সফল অশোভন।’———শেখ ফজলল করিম।
১০।‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর; মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।—– শেখ ফজলল করিম
১১।‘যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি’
——(সদ্ভাব শতক)- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
১২।‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি।’—— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৩। ‘‘আপনাদের সবার জন্য এই উদার আমন্ত্রন ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান।”—— আবু হেনা মোস্তাফা কামাল।
১৪। “নমোনমো নম সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি !
গঙ্গার তীর স্নিগ্ধ সমীর , জীবন জুড়ালে তুমি ।
–(দুই বিঘা ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৫। ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি’
—– সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৬। ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর’—— জীবনানন্দ দাশ
১৭। ‘‘জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে।”
— সুফিয়া কামাল
১৮। ‘‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে।”—– জীবনানন্দ দাশ।
১৯। ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে,”— সুকান্ত ভট্টাচার্য।
২০। ‘মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।’
——অতুল প্রসাদ সেন।
২১। ‘‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে / কিন্তু এ স্নেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে?”—— মধুসূদন দত্ত।
২২। ‘‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমণ”— মধুসূদন দত্ত।
২৩।”তুমি যাবে ভাই? যাবে মোর সাথে,/ আমাদের ছোট গাঁয়?
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়/ উদাসী বনের বায় ?” —- জসীমউদ্দীন
২৪। ‘‘এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় /দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়-/ লোক ভয়, রাজভয়, মৃত্যু ভয় আর/দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভার।”——-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২৫। “মানুষ মরে গেলে পচে যায় ,বেঁচে থাকলে বদলায়…”
——–রক্তাক্ত প্রান্তর, মুনির চৌধুরী
২৬। “আমারে নিবা মাঝি লগে?”
পদ্মা নদীর মাঝি”,-মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
২৭।”অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে”-বিলাসী (শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় )
২৮। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি—— মদনমোহন তর্কালঙ্কার
২৯। ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল।”- মদনমোহন তর্কালঙ্কার
৩০। সাহিত্য জাতির দর্পন স্বরূপ——প্রমথ চৌধুরী
৩১। সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত——প্রমথ চৌধুরী
৩২। শিক্ষার ‘স্ট্যান্ডার্ড’ মানে জ্ঞানের ‘স্ট্যান্ডার্ড’, মিডিয়ামের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ নয়।——আবুল মনসুর আহমদ
৩৩। বিদেশি ভাষা শিখিব মাতৃভাষায় শিক্ষিত হইবার পর, আগে নয়।——আবুল মনসুর আহমদ
৩৪। হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, – জীবনান্দ দাশ
৩৫। ‘কুহেলী ভেদিয়া জড়তা টুটিয়া এসেছে বসন্তরাজ”
—– সৈয়দ এমদাদ আলী।
৩৬। ‘ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।”——– জসীম উদদীন।
৩৭। ‘‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।”—— জসীম উদদীন।
৩৮।‘‘যে শিশু ভুমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,”—– সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৩৯। ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।’—— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৪০। ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?”
— কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
৪১।”এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা”
………কাজী নজরুল ইসলাম
৪২। ‘তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।’— কাজী নজরুল ইসলাম
৪৩। “প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস,
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।”—–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৪। ‘বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ’
—— যতীন্দ্রমোহন বাগচী
৪৫। ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’
—- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৪৭। “রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে”- সুকান্ত ভট্টাচার্য।”——- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৪৮। ‘‘আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।” —— রজনীকান্ত সেন
৪৯। ‘‘সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৫০। ‘‘মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে ক’রে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়।”——হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
৫১। ‘‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে”—– জীবনানন্দ দাশ।
৫২। ‘‘সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার”—- জীবনানন্দ দাশ।
৫৩। ‘‘আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি”
—— জীবনানন্দ দাশ।
৫৪।‘শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাণ্ডুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”—– জীবনানন্দ দাশ।
৫৫। ‘‘সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে,”—– জীবনানন্দ দাশ।
৫৬। ‘‘হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”—– সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৭। ‘হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো’ —–সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৫৯। ‘‘আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে,”—— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬০। ‘‘আজি হ’তে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে’ – —-কাজী নজরুল ইসলাম
৬১। ‘মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী’
—– সমর সেন।
৬২। ‘‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি” —-আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
৬৩। ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।’—— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬৪।. ‘জন্মেই কুঁকড়ে গেছি মাতৃজরায়ন থেকে নেমে, সোনালী পিচ্ছিল পেট আমাকে উগড়ে দিলো যেন’—— শহীদ কাদরী।
৬৫। ‘‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি”——- দাউদ হায়দার।
৬৬। ‘‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর।”—— জসীম উদ্দিন।
৬৭।‘‘যে শিশু ভুমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,”——- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৬৮।এ জগতে , হায় , সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি —
রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি ।
–(দুই বিঘা )রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৬৯। ‘ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে।”——– জসীম উদ্দিন।
৭০। ‘তাল সোনাপুরের তালেব মাস্টার আমি, আজ থেকে আরম্ভ করে চল্লিশ বছর দিবসযামী’ ——-আশরাফ ছিদ্দিকী।
৭১। ‘‘কুহেলী ভেদিয়া জড়তা টুটিয়া এসেছে বসন্তরাজ”
—– সৈয়দ এমদাদ আলী।
৭২।“মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭৩।“এতই যদি দ্বিধা তবে জন্মেছিলে কেন?”– নির্মলেন্দু গুণ
৭৪। হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,
– জীবনান্দ দাশ
৭৫। “ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহে যাও,
ভিতরে বিষের থলি/ মুখ বুঝে মুক্তা ফলাও।” —- আবুল হাসান
৭৬।”এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে, জানিনা সে এইখানে শুয়ে আছে কিনা”- জীবনানন্দ দাস
৭৭। অপদার্থ মানুষকে অনুকরণ করে নিজের মনুষ্যত্বকে হীন কর না, শুধু অর্থ ও সম্পদের সামনে তোমার মাথা যেন নত না হয়।
—মোহাম্মদ লুতফর রহমান
৭৮। রাজনীতিবিদদের কামড়াকামড়ির দায় রাজনীতির নয়,বরং বুর্জোয়া কাঠামোর নড়বড়ে গঠনই রাষ্ট্রের বারোটা বাজিয়ে দেয় ।
—–(সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু)আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৭৯। “বিপ্লব, অবিশ্যি, শান্ত ভাবেও হতে পারে- অনেকখানি সময় লাগিয়ে ছোট-মাঝারি কিস্তিতে; বহু শত বৎসর পরে যোগফলে মহাবিপ্লবের চেহারাটা অনুমান করা যাবে। বড় বিপ্লব দিয়েই শুরু হতে পারে- ততটা শান্ত ভাবে নয়- বেশি মানবীয় শক্তি খরচ করে নয়। যে সভ্যতা দর্শনের আঁধার-খননে আবছা হয়ে ছিল এতকাল, তাকে যুক্তির পথে চালিয়ে নিয়ে ক্রমেই আলোকিত করে তুলবার জন্যে- পৃথিবীর সকলেরই নিঃশ্রেয়সের জন্যে এই বিপ্লব। অনেকেই এই রকম কথা বলছে। কিন্তু বিপ্লব আসেনি এখনও।—– জীবনানন্দ দাশ।
৮০। “বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, মনে হয় আমিই লেনিন”- সুকান্ত ভট্টাচার্য
৮১। বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।——কাজী নজরুল ইসলাম
৮২।‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে’— রঙ্গলাল মুখোপাধ্যায়।
৮৩। যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করে ভোগ করা তাহাকেই সাজে। ——রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৪।‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।”—– হেলাল হাফিজ।
৮৫। “মুক্ত করো ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়।/ সংকোচের বিহ্বলতা নিজের অপমান/সংকোচের কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মাণ/দুর্বলেরে রক্ষা করো দুর্জনেরে হানো/নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো।”——-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৬।”তরবারি গ্রহণ করতে হয় উচ্চশিরে উদ্ধত হস্ত তুলে,
মালা গ্রহণ করতে হয় উচ্চশির অবনমিত করে,
উদ্ধত হস্ত যুক্ত করে ললাট ঠেকিয়ে।”—কাজী নজরুল ইসলাম
৮৭। ‘রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা’
—- কাজী নজরুল ইসলাম
৮৮। ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়’—- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৮৯। ‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুদ্ধ স্বদেশ ভূমি।’ ——সুকান্ত ভট্টাচার্য।
৯০। ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা’—- নির্মলেন্দু গুন।
৯১। ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’
—মাহবুব উল আলম চৌধুরী
৯২।‘‘জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই।” হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে। ———সিকান্দার আবু জাফর।
৯৩। ‘আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা।’
—- শামসুর রাহমান।
৯৪।‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয়কি কি বন্ধু, আমরা এখনো’ —–আলাউদ্দিন আল আজাদ।
৯৫। ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সকিনা বিবির কপালে ভাঙলো, সিথির সিদুঁর মুছে গেল হরিদাসীর”——- শামসুর রাহমান।
৯৬।‘‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,”——- রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহ।
৯৭। “পৃথিবীর সবকটা সাদা কবুতর/ ইহুদী মেয়েরা রেঁধে পাঠিয়েছে/
মার্কিন জাহাজে”—- আল মাহমুদ
৯৮। সত্যি যেদিন পাখিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দিতে পারি/সেদিন বুঝতে পারি পাখিই আমাকে ছেড়ে দিলে।/যাকে আমি খাঁচায় বাঁধি সে আমাকে
আমার ইচ্ছেতে বাঁধে, সেই ইচ্ছের বাঁধন যে শিকলের বাঁধনের চেয়েও শক্ত। ……ঘরে বাইরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৯৯। “মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল ফাগুন দিনের স্রোতে,
এসে হেসেই বলে যাই যাই যাই।
—–মাধবী ফুল গাছ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০০। যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে।
————–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০১। ……যেন হাঁক দিয়ে আসে/অপূর্ণের সংকীর্ণ খাদে/পূর্ণ স্রোতের ডাকাতি……/অঙ্গে অঙ্গে পাক দিয়ে ওঠে/কালবৈশাখীর-ঘূর্ণি-মার-খাওয়া অরণ্যের বকুনি।——–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০২।’কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি’
—————রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১০৩। ‘‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।”——কামিনী রায়।
১০৪। মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ
একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন
মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন
হঠাৎ আত্নবিসর্জনের
ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)।
১০৫। সংসারের কোন কাজেই
যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না,
সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(সম্পাদক)।
১০৬। যে ছেলে চাবামাত্রই পায়,
চাবার পুর্বেই যার অভাব মোচন
হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা।
ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ
কোনকালে সুখী হতে পারেনা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।
১০৭। সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক
ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ
সংক্ষেপ করতে চায়-বিলম্ব তারই
অদৃষ্টে আছে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।
১০৮। বিধাতা আমাদের
বুদ্ধি দেননি কিন্তু স্ত্রী দিয়েছেন, আর
তোমাদের বুদ্ধি দিয়েছেন;
তেমনি সঙ্গে সঙ্গে নির্বোধ
স্বামীগুলোকেও তোমাদের হাতে সমর্পন
করেছেন।- আমাদেরই জিত।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।
১০৯।
বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়,
তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায়
না।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(শেষের কবিতা)।
১১০। লোকে ভুলে যায়
দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন
ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(শেষের কবিতা)।
১১১।পূর্ণ প্রাণে যাবার যাহা
রিক্ত হাতে চাসনে তারে,
সিক্ত চোখে যাসনে দ্বারে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শেষের কবিতা)।
১১২। সোহাগের সঙ্গে রাগ
না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকে না। তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (চোখের বালি)।
(কালেক্টেড)